শ্রুতি মজুমদার একজন সাহসী, স্পষ্টবাদী, প্রতিবাদী মেয়ে। বাবা,মা,কাকা,কাকী ও খুড়তুতো বোন নিয়ে শ্রুতির জীবন। সে খুব ভাল গান করে। স্টেজে গান গাইতে চায়,গানের জগতে একজন নামকরা শিল্পী হতে চায়। এর মাঝে তার সম্বন্ধ হয় রাজনৈতিক নেতা এবং sitting M.L.A নীলকমল ভট্টাচার্যের বড় ছেলে আর্যর সঙ্গে। শ্রুতি হয়তো রাজী হতো না বিয়েতে, যদি না তীর্থকে দেখতো আর্যর ছোটভাই হিসাবে। তীর্থ দুবছর কলেজে তার সঙ্গে পড়েছিলো এবং সেই সময়ে তার ভাল বন্ধু হয়ে গেছিলো। তীর্থ পরে ডাক্তারিতে shift করে যায় বলে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেছিল। সেই তীর্থর বৌদি হবে শ্রুতি? মাও চাইছিলেন শ্রুতির বিয়ে হয়ে যায় তাড়াতাড়ি কারণ পাড়ার কিছু গুন্ডা যাদের লিডার বাবলা শ্রুতির দিকে এমন নজর দিয়েছে যে বলার নয়। এমন পরিবারে বিয়ে হলে শ্রুতির নিরাপদে থাকবে। শ্রুতির সঙ্গে বাবলাদের প্রায়ই ঝামেলা হয়েছে এবং বাবলা ক্রমশ হিংস্র হয়ে উঠেছে। শ্রুতি পাত্তা দেয় না ঠিক, কিন্তু ইদানীং যা সব কান্ড হচ্ছে তার ভয় হয়। ভালয় ভালয় বিয়েটা হয়ে গেলে তিনি নিশিন্ত হন। এমতাবস্থায় বিয়ে হচ্ছে শ্রুতির। শ্রুতির বিয়ের সকাল থেকে গল্প শুরু। তত্ত্ব, মিষ্টি ইত্যাদির মধ্যেই কালো ছায়া পড়ে থাকে একটা। আর্যর একটা ফোন আসে। মায়ের নিষেধ অগ্রাহ্য করে তীর্থের সাহায্যে আর্যর সাথে দেখা করতে যায় শ্রুতি। আর্য একখানা কুপ্রস্তাব দেয় ও পরমুহুর্তেই stance change করে নেয় বলে শ্রুতি ধরতে পারে না আর্য কেমন ধরনের ছেলে। বিয়ে বাড়িতে যখন বড় এসেছে, তখন শ্রুতির খোঁজ নেই – শ্রুতিকে আসার পথে কেউ acid bulb মেরেছে।