নিশির ডাক
অঘরনাথ এক তান্ত্রিক যিনি বহু বছর ধরে কালো জাদু সাধনা করছেন। তাঁর উদ্দেশ্য হল অমরত্ব অর্জন করা। অঘর জানতে পারেন যে কেবলমাত্র নিজের মেয়েকে বলি দিলে সে অমর হবে। তিনি চিত্রা নামে একটি মেয়েকে অপহরণ করেন। চিত্রা তাঁর কন্যা তারাকে জন্ম দেয়।
পাঁচ বছর কেটে যায় । উৎসর্গের দিন চিত্রা তারাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তার উদ্দেশ্য হল তারাকে তার মামাবাড়িতে রেখে আসা। তার মামাবাড়িতে এক জাগ্রত মা ভুবনেশ্বারির মন্দির আছে। চিত্রার বিশ্বাস যে তারা মন্দিরে সুরক্ষিত থাকবে। এইটা জানতে পেরে চিত্রার পিছনে মন্দ আত্মার বাহিনী পাঠায় অঘর। তারাকে মন্দিরে রেখে চিত্রা বেরিয়ে যায়।অপঘাতে মৃত্যু ঘটে চিত্রার।
অন্য দিকে চক্রবর্তী পরিবারে বিয়ের উৎসব চলছে। জগদীশ চক্রবর্তী তার বড় ছেলে রুদ্রর জন্য স্রিময়িকে বেছে নিয়েছে। চিত্রার মা, বাসবী ছাড়া পুরো পরিবার বিয়ের জন্য স্রিময়ির গ্রামে গেছে। এখানে রুদ্রর মা তুলসি জানতে পেরে যায় যে স্রিময়ি কোনদিন গর্ভধারণ করতে পারবে না। তিনি বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু রুদ্র ও জগদীশের কথায় বিয়েটা সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় স্রিময়ি অনুভব করে যে একটি অল্পবয়সী মেয়ে চক্রবর্তী বাড়ির মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে। বাড়ি গিয়ে সবাই দেখে যে স্রিময়ির কথা ঠিক। সকলে হতবাক হয়ে পরে। স্রিময়ি তারাকে নিজের মেয়ের জায়গা দিয়ে আপন করে নেয়।
সেদিন রাতে অঘর তারাকে নিয়ে যেতে চক্রবর্তী বাড়িতে যায়। অঘর নিজের পরিচয় তারার বাবা হিসেবে দেয় কিন্তু কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে না। অঘর নিজের উদ্দেশ্যে বিফল হন। নিজের ডেরায় ফিরে তিনি পিশাচসিদ্ধা নিশিকে জাগিয়ে তলেন। নিশি এক সুন্দর নারীর রূপ ধারণ করে। নিশি শীঘ্রই রুদ্রর মদ্যপ ভাই পলাশকে নিজের মায়াজালে আবদ্ধ করে। নিজেকে সে তারার মা বলে দাবি করে এবং চক্রবর্তী বাড়িতে যায়। কিন্তু মন্দিরে একটি শুভ শক্তির উপস্থিতির কারণে সে প্রবেশ করতে পারে না। গল্পটি এগিয়ে চলার সাথে সাথে, স্রিময়ি তারার প্রাথমিক সুরক্ষক হয়ে ওঠে। নিশি ও অঘরনাথের মন্দ পরিকল্পনাগুলি থেকে স্রিময়ি কি পারবে তারাকে রক্ষা করতে?